১। জন্ম নিয়ন্ত্রণ আলোচনায় এগিয়ে আসুন
যদিও যৌন নিরাপত্তা পুরুষ এবং মহিলা দুয়েরই দায়িত্ব, জন্ম নিয়ন্ত্রণ করাকে বহুদিন পর্যন্ত মনে করা হতমহিলাদেরই দায়িত্ব। যদি পুরুষরা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে যৌন মিলনে জড়িয়ে থাকা আমাদের মতোই এই দায়িত্ব পালন করে, তাহলে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ এবং যৌন সংসর্গজাত রোগ ভোগের পরিমাণও কমে যাবে।
এই প্রবন্ধে কোনো রকম অপ্রতিভতাকে আমল না দিয়েই আমি আলোচনা করব প্রজনন স্বাস্থ্যে পুরুষেরও জড়িয়ে থাকার গুরুত্ব এবং নিরাপদে যৌনতার দায়িত্ব নেওয়ার সৃজনশীল নানান উপায়। যদি আপনি পুরুষ হয়ে থাকেন, তাহলে মনোযোগ দিন; আর যদি আপনি মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে নিজের সঙ্গীকে এই পদ্ধতির মধ্যে জড়িয়ে নিন, তাঁকে এই লেখাটি পাঠান এবং কথাবার্তা শুরু করুন।
১। জন্ম নিয়ন্ত্রণ আলোচনায় এগিয়ে আসুন
যৌনতা সম্পর্কে সামাজিকতা এবং শিক্ষার অভাবের কারণে আমরা মনে করি যে যেহেতু আমরা গর্ভ ধারণ করি না, জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই এবং এটা মূলত মহিলাদের বিষয়। যাই হোক, এটা আসলে তা নয়, কারণ অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে যা-ই ঘটে তার জন্যে আমরা সমানভাবে দায়ী। আর তাছাড়াও যৌন সংক্রমণ নারী পুরুষ বিচার করে না এবং আমাদের সেটা আটকানো্র জন্যে গর্ভনিরোধক দরকার। সেই কারণে পুরুষদেরই এগিয়ে আসা দরকার জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার জন্যে। আগের থেকেই এটা করে রাখলে দুই পক্ষের জন্যেই ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।
এইসব কিছুর মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে আমাদের মনে রাখতে হবে যে যৌনতা প্রধানত প্রভাবিত হয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের দ্বারা। উদাহরণস্বরূপ, কেনিয়ার কোনো কোনো অঞ্চলের সংস্কৃতিতে শ্রুতিমধুর কোনো শব্দ ব্যবহার না করে যৌন পরামর্শ বা কোনো প্রসঙ্গ তোলাটা ঔদ্ধত্য বলে মনে করা হয় । তাই বিয়ে করাটা কে ‘জিকো’ পাওয়া এবং কোনো মেয়ে গর্ভধারণ করলে কোনো সম্প্রদায় বলে,’ছাগলের পা ভেঙে গেছে’। যখন জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা চলে, আমাদের মনে রাখতে হবে যে সঙ্গীটি কোথা থেকে এসেছে এবং তার বিশ্বাস, এইসবের ওপরে নির্ভর করে আমাদের সঙ্গীর মনোভাব অনুযায়ী আমরা সোজাসাপটাভাবে বা হাসিমজার ভাব নিতে পারি।
২। বিভিন্ন পদ্ধতি এবং সেগুলির পরিষেবা দেয় যারা তাদের চিহ্নিত করুন এবং গবেষণা করুন
পুরুষেরা খুব কমই তাঁদের সঙ্গীদের সুবিধাজনক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং তার পরিষেবাদায়ক সংস্থা বেছে নিতে সাহায্য করেন কারণ আমরা কখনো প্রথমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে কথাবার্তায় আগ্রহী হই না।
যখন আমরা এই পদ্ধতিতে নিজেদের ভূমিকা পালন করি , তখন সেটা সিদ্ধান্ত নিতে ভালোভাবে সাহায্য করে এবং অবাঞ্ছিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় ।
সবথেকে ভালো হয় এই কথাবার্তা জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনার সময়ে যদি ঘটে। একসঙ্গে এটা করলে আপনাদের সম্পর্ক মজবুত হবে এবং ভালোভাবে করলে আরও ঘনিষ্ঠ যৌন অভিজ্ঞতা তৈরি হতে পারে।
আমাদের সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী অনেক রকমের উপায় পাওয়া যায়ঃ
- স্বল্পস্থায়ী হরমোনাল গর্ভনিরোধক, যেমন জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি;
- দীর্ঘস্থায়ী হরমোনাল গরভনিরোধক, যেমন জরায়ুস্থিত কোনো যন্ত্র বা পাত(আইইউডি);
- একবারমাত্র ব্যবহারযোগ্য গর্ভনিরোধক, যেমন কন্ডোম; এবং
- গর্ভনিষ্কাশন, যেমন বন্ধ্যাকরণ(মহিলাদের জন্যে) অথবা নালীচ্ছেদ(পুরুষদের জন্যে)
যখন জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্যে সঠিক পদ্ধতি খুঁজে রাখা হয়, সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের কথাও আমাদের মনে রাখা দরকার। কেনিয়াতে বেশির ভাগ ক্যাথলিক যাঁরা ক্রিশ্চানদের মোট সংখ্যার প্রায় ৮০%, মনে করেন কন্ডোম বা অন্য কোনো গর্ভনিরোধকের ব্যবহার খুব খারাপ। কোনো নিরাপদ এবং দুজনের জন্যেই কার্যকরী এমন কোনো পদ্ধতির বিষয়ে আগে থেকেই কথা বলে দুইজনেরই সম্মতি থাকলে ভালো হয়।
কার্যকারিতা, বিপরীতধর্মিতা, আরাম, সুবিধা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এবং গ্রহণযোগ্যতা এইসবগুলি হল আরও কয়েকটি প্রধান বিষয় যেগুলি সম্পর্কে ভাবা দরকার আগে থেকে বা সেই সময়ে এবং তার পরে যখন আমরা চিহ্নিত করি সুবিধাজনক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি । তাছাড়াও আমাদের একটা জরুরি অথবা বিকল্প উপায় ভেবে রাখা দরকার যদি ব্যবহৃত পদ্ধতি কাজ না করে, উদাহরণস্বরূপ কন্ডোম ফেটে যাওয়া।
৩। অ্যপয়েন্টমেন্ট বুক করুন এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্যে অর্থব্যয় করুন
অর্থব্যয় করলে সত্যিই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যায়! গর্ভনিরোধক পেতে গেলে সময় এবং অর্থ দুইয়েরই দরকার হয়, পুরুষ হিসেবে আমাদেরও সমানভাবে অর্থব্যয় করা উচিত। গর্ভনিরোধক যোগাড় করা এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সহ্য করা ছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্যে মহিলাদের অন্যায় ভাবে আর্থিক বোঝাও বইতে হয়, এবং অন্ততপক্ষে আমরা এমনকিছু করতে পারি যেটা আমাদেরও সমানভাবে উপকৃত করে সেটা হল নিজেদের সঙ্গীকে স্বাস্থ্যপরিষেবাদানকারীর কাছে নিয়ে যাওয়া এবং আবেগজনক এবং আর্থিক সাহায্য প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া।
এর ফলে আমরা যেমন দায়িত্বশীল সঙ্গী হয়ে উঠতে পারি, এটা চ্যালেঞ্জ জানাতে সাহায্য করে আমাদের সাংস্কৃতিক নীতিগুলো এবং প্রচলিত ধারণাগুলি, যেগুলি যৌনতার সঙ্গে সম্পর্কিত সামাজিক নিষেধের ফল এবং এমনকি মহিলারা যখন প্রাপ্তবয়স্ক তখনও খোলাখুলি যৌনতা এবং গর্ভনিরোধক নিয়ে আলোচনা করা কঠিন করে দেয়, গর্ভনিরোধক কেনা এবং সঙ্গে রাখার কারণে মহিলাদের নিচু চোখে দেখে সেইসকল বিষয়কে । এইসকল সংস্কৃতি বিশুদ্ধতার রূপক হিসেবে কুমারীত্বের ওপরে জোর দেয় এবং যৌনতাকে দোষণীয় বলে মনে করে। এর ফলে রোমান্টিক সম্পর্কেও সামাজিক নিষেধের বেড়া তৈরি হয় এবং জোরদার হয় লিঙ্গবৈষম্য। এইসকল বিষয়ে ভাষা গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকে, যেমন কেনিয়াতে যৌনতা এবং লিঙ্গ বিষয়ে প্রচলিত সাম্প্রতিক শহুরে গালি ‘ভিতু’। সোয়াহিলি ভাষায় এর মানে ‘বস্তু’। যৌন বিষয়ে এইসকল ছদ্ম বোঝাপড়া বেশির ভাগ যুবক যুবতী তাদের প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা গোপনীয়তা, ভয় এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে ঢেকে রাখে। এটি তাদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের দিকে ঠেলে দেয়।
এইসকল ভুলত্রুটিগুলি নিয়ে আমরা ভাবতে পারি যদি আমরা আরও বেশি করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি যৌনতা নিয়ে আলোচনা, অ্যপয়েন্টমেন্ট ঠিক করে স্বাস্থ্যসেবাপ্রদানকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, ভবিষ্যতের সাক্ষাৎকার ঠিক করা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্যে অর্থ ব্যয় করা ইত্যাদির মধ্যে নিজেদের যুক্ত করতে পারি।
৪। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করুন
ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে যে গর্ভনিরোধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে; এগুলি এমনিতে স্বাভাবিক হলেও যখন কোনো মহিলা একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করেন তখন সেটা কয়েক মাস ভোগাতে পারে। আমাদের সঙ্গীকে এই সময়ে সাহায্য করলে তাঁদের পক্ষে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মোকাবিলা করা সহজতর হয়ে যায় এবং সেই কারণেই সেটা আগে থেকে জেনে নেওয়া জরুরী। কখনো কখনো আমরা জানি না কিভাবে সাহায্য করতে হবে কারণ আমরা সে সম্পর্কে যোগাযোগহীন এবং অসতর্ক থাকি। এটা হয় তখনই যখন আমরা শুরু থেকে পদ্ধতিটির সঙ্গে যুক্ত থাকি না। শুরু থেকে যুক্ত থাকলে সেই সম্পর্কে কথাবার্তা চালানো এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করা স্বাভাবিক এবং আশানুরূপ হয়ে থাকে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল কন্ডোমের কারণে লেটেক্স অ্যালার্জি-কেনিয়াতে সবথেকে চালু গর্ভনিরোধক পদ্ধতি হল কন্ডোম, এগুলোতে চুলকানি এবং নাক দিয়ে জল পড়া ; অ্যালার্জি রোধক বড়ি, আরামদায়ক লোশন যেমন ক্যালামাইন অথবা অন্য কোনো চুলকানি রোধক ক্রীম ব্যবহার করা যেতে পারে। আরেকটি চালু গর্ভনিরোধক হল সকালের বড়ি, যেটা কেনিয়াতে সাধারণভাবে এমার্জেন্সী বড়ি, যেমন পি২ অথবা ফেমিপ্ল্যান নামে পরিচিত এবং এর কতকগুলি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল বমি ভাব এবং স্তনের শিথিলতা। আমরা আদা অথবা লবঙ্গ দিয়ে চা এবং উষ্ণ স্নানের ব্যবস্থা করতে পারি আরাম পাওয়ার জন্যে।
প্রত্যেক গর্ভনিরোধকের নিজের নিজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এই পদ্ধতির সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত হয়ে গেলে দুজনে একসঙ্গে সব তথ্যাদি যোগাড় করে মোকাবিলা করা যায়।
৫। পুরুষদের জন্যে যেসকল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে বিবেচনা
বেশির ভাগ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিই মহিলাদের জন্যে আছে এবং পুরুষদের জন্যে বিকল্প জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলি খুঁজে বার করার ব্যাপারে মানুষ অত্যন্ত অলস। এটা মহিলাদের ওপরে আলাদা একটা চাপ তৈরি করে, এমনিতেই তাঁদের স্বাস্থ্য অথবা অসুবিধে নিয়ে চলতে হয় জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্যে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতির সঙ্গে যোগ এবং দুজনে একসঙ্গে বিকল্পগুলি খুঁজে নিতে পারলে সব কিছুই সহজ হয়ে যায় যেহেতু পুরুষদেরই সেগুলি বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে কেবল দু ধরনের গর্ভনিরোধক পদ্ধতি পুরুষদের জন্যে চালু আছে ঃ কন্ডোম এবং ভ্যাসেক্টমি। পুরুষদের জন্যে বড়ি নিয়ে গবেষণা চলছে। এটা সফল হলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলির সঙ্গে জরুরি একটা বিকল্প যুক্ত হবে।
দায়িত্বশীল সঙ্গী হিসেবে আমাদের প্রচলিত পদ্ধতগুলির ভালোমন্দ খতিয়ে দেখতে হবে এবং কোনো একটিতে থিতু হতে হবে যেটি সর্বসম্মতিযোগ্য এবং সনযুক্ত মানুষগুলির পক্ষে সবথেকে কাজের।
৬। মহি্লাদের জন্যে আরও বেশি অধিকার এবং পুরুষদের জন্যে আরও বিকল্প বিষয়ে ক্যাম্পেন
জন্ম নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভপাত করানোর অধিকার অনেক দেশেই নেই অথবা উপেক্ষিত। পুরুষদেরকেও গলা ওঠাতে হবে এই সমস্যায় মহিলাদের সমর্থন করার জন্যে। কেনিয়া তে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ জোরদার হয়ে উঠছে। কেনিয়া এস আর এইচ আর গোষ্ঠী, ১৭টি সিভিল সোসাইটি সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান এইসব গোষ্ঠীর উত্থানের মধ্যেই তার প্রমাণ। এই গোষ্ঠীগুলি তরুণ-তরুণী, মহিলা এবং প্রান্তিক মানুষদের যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার তুলে ধরার জন্যে কাজ করে।
মহি্লাদের জন্যে আরও বেশি অধিকার-এর লড়াইএ পুরুষদের অংশগ্রহণ স্বাস্থ্য পরিষেবায় মহিলাদের অধিকার বাধাহীন করে তোলার এবং পুরুষদের জন্যে আরও ভালো কোনো জন্ম নিয়ন্ত্রণের অন্যতম বিকল্প।আমরা এটা পরোক্ষভাবে করি স্থানীয় সংগঠনে অর্থদান করে অথবা প্রত্যক্ষভাবে প্রতিবাদ এবং সতর্কতামূলক কাজকর্মে যোগদান করে। যত বেশি কণ্ঠ এতে যোগ দেবে, পলিসি বানানোর লোকজনের পক্ষে সাহায্যকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ততই সহজ হবে।
বর্তমানে যে ক্যাম্পেনে আমরা অন-লাইন যোগদান করতে পারি সেটা তরুণ-তরুণীদের জন্যে সহায়ক, আয়ত্তের মধ্যে, এবং ভালো মানের যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য (এস আর এইচ) পরিষেবা। আর একটি ক্যাম্পেন হল স্থানীয় সরকারকে এস আর এইচ সম্পর্কিত বাজেট বাড়ানোর জন্যে বলা। যৌন শিক্ষার উন্নতি এবং আরও ভালো কোনো বিকল্প এবং পুরুষদের উপযুক্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণার জন্যে এটা কাজে লাগবে। এই ধরনের যোগদান সরকারের পলিসির লক্ষ্য এদিকে চালিত করতে এবং গর্ভনিরোধক সবার জন্যে প্রাপ্তিসাধ্য ও নাগালের মধ্যে আনতে সাহায্য করতে পারে।
যখন পুরুষরা একটি দায়িত্বশীল যৌন ধর্ম পালন করে তখন আমরা সক্রিয়ভাবে ভয় এবং অনিশ্চয়তা দূর করতে পারি। এর ফলে আমাদের সঙ্গে আমাদের সঙ্গীর যৌন অভিজ্ঞতা পরিপূর্ণ হতে দেয়। আমরা চাই না আরও পুরুষ কথা বলুক আরও ভালো যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে , বরং আমরা চাই সকল পুরুষ এই নিয়ে কথা বলুক।
আপনার কি কিছু ভাগ করে নেওয়ার আছে? নীচে আপনার মন্তব্য রাখুন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-এ। ফেসবুক, ইন্স্টাগ্রাম এবং টুইটার এ অথবা ইমেল করুন info@findmymethod.org. এ। গর্ভনিরোধ বিষয়ে আরও খবরাখবরের জন্যে দেখুন findmymethod.org
লেখক সম্পর্কেঃ ক্রিস্ মুকাসা একজন লেখক এবং কেনিয়া-র নাইরোবিতে বসবাসকারী সৃষ্টিশীল মানুষ। তিনি ফাউন্ডার অফ্ ফাতুমা-র ভয়েস্-এর প্রতিষ্ঠাতা যেটা শিল্প, কবিতা, মুক্ত বিতর্ক এবং সঙ্গীতের মতো সৃজনশীল উপায় ব্যবহার করে সারা আফ্রিকায় তরুণ তরুণীদের মনের প্রসার ঘটাতে।