যদি আপনি আপনার প্রেগ্ন্যান্সি রাখতে চান, কোনো স্বাস্থ্যপরিষেবাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুন। তারা একটি স্বাস্থ্যবিধি বানিয়ে দেবে যেটি আপনার গর্ভকালীন যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে।
গর্ভধারণের পরে সুপারিশ করা হয় এমন কয়েকরকম খাবার বা ওষুধ নিতে শুরু করা উচিত , যেমন ফোলিক্ অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি; ধুম্রপান এবং মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া দরকার; চা বা কফি কম পান করা উচিত। সামঞ্জস্য রেখে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে এবং গর্ভের জন্যে ক্ষতিকর এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে; যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে ব্যায়াম করতে হবে; যেসকল ওষুধ আপনি খাবেন সেগুলো গর্ভধারণকালীন নিরাপদ কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে; এবং আপনার দৈহিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকার বিষয়ে অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। আপনার ডাক্তার খুব সম্ভবত এইসব সুপারিশ করবেন, তবুও আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।
মাতা বা পিতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব সহজ নয় এবং আপনার অধিকার রয়েছে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী রাস্তা বেছে নেওয়ার। আপনি যদি গর্ভপাত করাতে না চান , আবার মা হতেও না চান, আপনি দত্তক নেওয়ার কথাও বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
এই রাস্তাটি বেছে নিলে আপনাকে গর্ভধারণ করে শিশুর জন্ম দিতে হবে এবং তারপরে অন্য কারও হাতে শিশুর লালন পালনের ভার দিতে হবে।
দত্তক-এর বিষয়টি একশ ষাটটি দেশে আইনসিদ্ধ এবং এক মিলিয়ন জনসংখ্যার সিকিভাগের বেশি দত্তক-এর বিষয়টি ঘটে থাকে। ধীরে ধীরে রীতি এবং আইন মেনে শিশুর সুন্দর জীবনের দিকে লক্ষ্য রেখে দত্তক প্রথা চালু থেকেছে। বিভিন্ন দেশে পালিত সন্তানের অধিকারে পার্থক্য রয়েছে। কোনো কোনো দেশে পালিত সন্তানের অধিকার গর্ভজাত সন্তানের সমান, যেমন স্মপত্তি ইত্যাদির ওপরে অধিকার। অনেক দেশে আবার অন্য আইন, যেমন জন্মদাতা পিতামাতার সঙ্গে যোগাযোগ থাকাটা প্রত্যাশিত।
আপনি কোথায় বাস করেন তার কাছাকাছি কোনো সংস্থা বা মানুষের খোঁজ করুন যিনি আপনাকে সেখানকার রীতি এবং আইন সম্পর্কে ঠিকঠাক তথ্য জানাতে পারেন এবং আপনাকে নিজের সিদ্ধান্ত বিবাচনা করে দেখার কাজে সাহায্যও করতে পারেন।
যদি আপনার মনে হয় যে এই সময়টি মা হওয়ার জন্যে উপযুক্ত সময় নয়, তাহলে আপনি গর্ভপাত করাতে পারেন। আপনার যেখানে বাস সেই অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কাজে পরিণত করা সহজ বা কঠিন দুই-ই হতে পারে। স্থানীয় আইন এবং নিয়মগুলি অনুযায়ী গর্ভপাত করানো সহজসাধ্য না-ও হতে পারে, নানান বিষয় যেমন আপনার বয়স, আপনার গর্ভধারণ কতদিন আগে হয়েছে এবং আপনার বীমা পলিসি ইত্যাদি সামনা চলে আসতে পারে।
দুই ধরনের গর্ভপাতের রাস্তা আছেঃ বড়ি বা ওষুধের সাহায্যে এবং ডাক্তারখানায় গিয়ে বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে।
বড়ির সাহায্যে গর্ভপাত
গর্ভপাত করানোর বড়ি আপনি নিতে পারেন যদি চান । দু রকমের নিরাপদ উপায় আছেঃ মাইফপ্রিস্টোন এবং মাইসোপ্রোস্টোল একসঙ্গে, অথবা কেবল মাইসোপ্রোস্টোল।
আরও খবরাখবরের জন্যে আপনি howtouseabortionpill.org এবং safe2choose.org -তে আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ক্লিনিক-এ অ্যাবর্শন
ক্লিনিক-এ অ্যাবর্শন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক-এ এটি করে থাকেন। ক্লিনিক-এ অ্যাবর্শন-এর কতকগুলি সুরক্ষিত উপায় আছে। তার মধ্যে রয়েছেঃ
১। ম্যানুয়াল ভ্যাকুয়াম অ্যাস্পিরেশন
২।ইলেকট্রিক ভ্যাকুয়াম অ্যাস্পিরেশন
৩। ডাইলেশন এবং ইভ্যাকুয়েশন
৪। ইন্ডাক্শন অ্যাবর্শন
একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী সাধারণত আপনার গর্ভধারণ কতদিন হল হয়েছে, আপনার দেশের আইন এবং পলিসি, দরকারি সরঞ্জামের প্রাপ্তিসাধ্যতা এবং স্বাস্থ্যপরিষেবা সংস্থা বা রোগীর সুবিধার ওপরে নজর রেখে কোনো পদ্ধতি সুপারিশ করেন।
ক্লিনিক-এ অ্যাবর্শন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন here
গর্ভপাত নিয়ে প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিছু মহিলার জন্যে এটি সহজ এবং সোজাসাপটা; অন্যদের জন্যে এটি খুবই উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। safe2choose-এ আপনি আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন গর্ভপাতের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য খবরাখবর এবং সাহায্যের জন্যে।