হোম প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট ও বলা যায় এটিকে, ইউরিন টেস্ট খুব তাড়াতাড়ি করা যায়, পদ্ধতিটি সহজ এবং একান্ত নিজস্ব। এই টেস্ট করার জন্যে একটি বিশেষ ধরনের টেস্ট স্ট্রিপ প্রস্রাবের সময়ে ধরতে হবে। এই পরীক্ষাটি বিভিন্নরকমভাবে করা যায়।
ইউরিন টেস্টও ব্লাড টেস্ট-এর মতোই কম সময় নিয়ে থাকে, এক্ষেত্রে ৯৭ শতাংশ থেকে ৯৯শতাংশ পর্যন্ত সঠিক ফল পাওয়া যায়
ইউরিন প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট-এর জন্যে আপনার পিরিয়ড্ মিস্ করার প্রথম দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্যে সুপারিশ করা হয়। এটা সাধারণত গর্ভধারণ করার পরে দু সপ্তাহ পর্যন্ত মনে করা হয়। যাই হোক, কোনো কোনো টেস্ট আরও জোরালো এবং আগেভাগে সেটি করে নেওয়া যায়।
যদি আপনি কোনো নেতিবাচক ফলাফল পান অথচ তখনও আপনার মনে হয় যে আপনি প্রেগ্ন্যান্ট, এক সপ্তাহ পরে আবার পরীক্ষা করে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনি কোনো প্রেস্ক্রিপ্শন্ ছাড়াই ওষুধের দোকানে বা ডাক্তারখানায় হোম্ প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট কিনে নিতে পারেন। ব্রান্ডের ওপরে দাম নির্ভর করছে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলি দামি হয় না।
প্রেগ্ন্যান্সি টেস্ট রেজাল্ট
রেজাল্ট দেখানোর পদ্ধতি প্রতিটি ব্রান্ডের ক্ষেত্রে আলাদা। এটি প্লাস্ বা মাইনাস্ হতে পারে, বার দেখাতে পারে অথবা যদি এটি ডিজিটাল টেস্ট হয় তাহলে ‘প্রেগ্ন্যান্ট’ বা ‘নট্প্রেগ্ন্যান্ট’ লেখা দেখাতে পারে। নির্দেশগুলি ভালো করে পড়ে নেওয়া দরকার, তাহলে জানা যায় রেজাল্ট কিভাবে দেখাবে এবং কোনো সংশয় থাকবে না।
নন-ডিজিটাল টেস্ট-এর জন্যে আপনাকে মনে রাখতে হবেঃ এটি হালকা বা পাতলা দেখতে লাগলেও সেটা বিবেচনা করার দরকার নেই, যদি আপনি হালকা “+” চিহ্ন দেখতে পান অথবা একটি লাইন অন্যটির থেকে মোটা দেখেন, তাহলেও জানবেন এটা পজিটিভ্ রেজাল্ট। যখন আপনি কোনো চিহ্ন বা লাইন দেখতে পাবেন না, তখন সেটিকে নেগেটিভ্ বলে ধরে নিতে পারেন।
পজিটিভ্ রেজাল্ট অনেক সময়ে ভুল হতেও পারে, আপনি প্রেগ্ন্যান্ট না হলেও দেখাতে পারে পজিটিভ্। যদি আপনার প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন পাওয়া যায়, তখন এটির সম্ভাবনা থাকে। কোনো ওষুধ যেমন ট্র্যাঙ্কুইলাইজার, অ্যান্টিকনভালসেন্ট, হিপ্নোটিক্স্এবং ফার্টিলিটি ড্রাগ্স্ নিলেও এরকম হতে পারে।
ইউরিন টেস্ট-এর থেকে আগেই ব্লাড্ টেস্ট করে প্রেগ্ন্যান্সি জানা যায়, ওভিউলেশন-এর ছয় থেকে আট দিন পরেই।
দু রকমের ব্লাড্ টেস্ট আছেঃ
এই ধরনের টেস্ট পরীক্ষা করে দেখে নেয় যে আপনার রক্তে এইচ্সিজি আছে না নেই। এবং প্রেগ্ন্যান্সি কন্ফার্ম করে গর্ভধারণের ১০দিন পরেই।
এই ধরনের টেস্ট আপনার রক্তে এইচ্সিজি-র মাত্রা পরীক্ষা করে দেখে এবং খুব কম মাত্রায় থাকলেও সেটা শনাক্ত করতে পারে।
প্রেগ্ন্যান্সি বোঝার রক্ত পরীক্ষায় ৯৯% যথার্থ ফল পাওয়া যায়।
ওভিউলেশন-এর পরে আনুমানিক সাত দিন হলে (আপনার পিরিয়ড বা মাসিক-এর সাত দিন আগে) টেস্ট করানো যেতে পারে এবং তখনো এটা সঠিক রেজাল্ট দেয়।
ব্লাড্ টেস্ট-এর জন্যে আপনি কোনো ডাক্তার দেখাতে পারেন অথবা সরাসরি লেবরেটরি তে যেতে পারেন ; বেশির ভাগ জায়গাতেই এই টেস্ট করানো যায়। ইউরিন টেস্ট-এর থেকে এতে খরচ একটু বেশি।
টেস্টের ফলাফল
একজন স্বাস্থ্য পরিচর্যাকারীকে আপনার রিপোর্টগুলি দেখাতে হবে এবং তিনি আপনাকে বলবেন যে আপনার এইচসিজি-র স্তর কী এবং এর মানে কী। এই মাত্রাগুলি মাপা হয় প্রতি মিলিলিটার রক্তে (mIU/mL)এইচসিজি হরমোনের মিলি-আন্তর্জাতিক এককে।
আপনি কি জানতে চান কীভাবে গর্ভাবস্থা হয়? আমাদের “কীভাবে গর্ভাবস্থা হয়?” পেজে যান। প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার জন্য
যদি এটি একটি অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থা হয়, আপনি যদি মা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত না হন তাহলে আপনার কাছে উপলব্ধ বিভিন্ন বিকল্প সম্পর্কে জানতে আমাদের “গর্ভাবস্থার বিকল্প” পেজটি দেখুন।
যদি আপনার পিরিয়ড অনিয়মিত হয়, বা আপনার তা একেবারেই না হয়, তাহলে আমরা আপনাকে যৌন মিলনের তিন সপ্তাহ পর গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি।